পনির -আলুর - বাটি -চচ্চড়ি গরম গরম রুটির সঙ্গে ,সকালের জলখাবারে দারুন ! দারুন!! সাধারণত আমাদের প্রতিটি দিনের জীবন যাত্রায় আহারের গুরুত্ব বোধহয় সবচাইতে বেশি। আহার চাই চাই ! আর এই চাহিদা পূরণ করার জন্যই মানুষ সারাদিন কর্মযুদ্ধে ব্যস্ত। সারাদিনে প্রতিটি মানুষের ক্ষেত্রে চারবার আহারের সময় নির্ধারণ করা আছে। সকালের জলখাবার,দুপুরে আহার ,বিকালের হালকা কিছু খাওয়া ,আর আছে নৈশভোজ।
কিন্তু আমার মনে হয় ,সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ অবশ্যই সকালের জলখাবার। সকালের শুরুটা একেবারে ঠিকঠাক হওয়া উচিত। শুরুর খাবার হবে পুষ্টিতে ভরপুর ,মুখরোচক আর স্বাদে ভরা। তবে সারাদিন শরীর আর মন ভালো থাকবেই। একঘেয়েমি কাটিয়ে খাওয়ার শুরুটা নানা দিন নানা রকম হলে ,সংসারে তো সুখ থাকবেই। আর সংসারকে ভালো রাখতে,সুখে রাখতে এই কঠিন কাজটি করেন কিন্তু প্রত্যেক সংসারের প্রত্যেক গৃহিনী।
আগের দিনই ভেবে রেখেছিলাম যে আজ সকালে হবে রুটির সঙ্গে পনির - আলুর - বাটি- চচ্চড়ি।
বড়োই সহজ রান্না ,তেল মশলার পরিমানও খুব কম। কিন্তু খেতে যে কি ভালো লাগে ,কি বলবো ?সঙ্গে যদি একটু মিষ্টি বা ঝাল আচার থাকে, তবে তো কোনো কথাই বলা যাবে না ,শুধু মনের আনন্দে খাওয়া দাওয়া। দিনের শুরুটা হোক তো সুন্দর ......... ।চা খেয়েই দেরি না করে জলখাবার তৈরি করতে শুরু করে দিলাম।
উপকরণ :-
পনির -২০০ গ্রাম থেকে ৩০০ গ্রাম ( ছোট ছোট টুকরো টুকরো করে কাটা )
আলু - ২-৩টি বড়ো সাইজের ( খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট টুকরো করে কাটা )
পেঁয়াজ - ৪-৬টি ( খোসা ছাড়িয়ে বড়ো বড়ো টুকরো টুকরো করে কাটা )
কাঁচালঙ্কা - ৬-৭টি ( অর্ধেক করে কাটা )
টমেটো - ১টি বড়ো সাইজের ( টুকরো টুকরো করে কাটা )
নুন - প্রয়োজনমতো
চিনি - প্রয়োজনমতো
সর্ষেরতেল- প্রয়োজনমতো
পদ্বতি :-
কড়াই নিয়ে তার মধ্যে দিলাম ,পনিরের টুকরো ,জলে ধোয়া আলুর টুকরো ,পেঁয়াজের টুকরো ,কাঁচালংকার টুকরো ,টমেটোর কাটা টুকরো ,প্রয়োজনমতো নুন,চিনি আর সর্ষের তেল। সমস্ত উপকরণ হাত দিয়ে ভালো করে মেখে নিলাম।
গ্যাস জ্বালিয়ে ,উপকরণ সমেত কড়াই চাপিয়ে দিলাম। উপকরন গরম হয়ে উঠলেই ,একটু নাড়াচাড়া করে আঁচ কমিয়ে ,বাটি চচ্চড়ি হতে দিলাম। পনিরের মিষ্টি গন্ধে রান্নাঘর ভরে উঠলো। খুবই আকর্ষণীয়। বুঝতে পারলাম বাড়ির সবাই চুপচাপ খাওয়ার অপেক্ষায়।
কিছুক্ষন বাদে বাদে ঢাকা খুলে একটু নেড়ে চেড়ে রান্নাটা দেখে নিতে লাগলাম। আলু বেশ ভালো মতো সেদ্ব হলেই ,একটু আঁচ বাড়িয়ে রান্না মাখো মাখো করে নিলাম। দেখে নিলাম রান্নার স্বাদ। সব ঠিক ঠাক,আর খুব সুন্দর। তবে ? গ্যাস বন্ধ করে দিলাম। একটুও দেরি না করে সব্বাইকে দিয়ে দিলাম ----গরম গরম রুটি ,আর গরম গরম পানির -আলুর - বাটি চচ্চড়ি। যারা যারা চাইলো সঙ্গে আচার দিলাম। সবাই বললো বড়োই ভালো .....বড়োই ভালো খেলাম। মাঝে মাঝে এমন চমক কিন্তু অসাধারণ লাগে। দিনের শুরুটাও হয় খুব আনন্দের। সবার আনন্দ তো আমারও আনন্দ।
আনন্দে থাকুন ,ভালো থাকুন ,সুস্থ থাকুন।
Comentários