"হিং চাই গো হিং........"
আমাদের খুব ছোটবেলায় শোনা কাবুলিওয়ালাদের হাঁক | এখন তো শোনাই যায় না | মা দিদিমার মুখে শুনেছি, এই হাঁক শুনেই তারা দরজায় ছুটে যেতেন, কাবুলিয়ালাদের কাছে একেবারে সঠিক স্বাদ ও গন্ধে ভরা হিং কেনার জন্য |
এখন অবশ্য হিঙের দেখা মেলে নানা মুদি খানার দোকানে | হিং রান্নাঘরের এক বিশেষ উপাদান | হিং দিয়ে তৈরী যেকোনো রান্নাই এক অন্য গন্ধের, এক অন্য স্বাদের | হিঙের কচুরি বা হিং ফোড়নে রান্না তরকারি খুবই সুস্বাদু | আর হিং দিয়ে তৈরী কলাই এর ডাল প্রতি বাঙালির ঘরে খুবই প্রিয় রান্না |
হিঙের চাষ হয় পাঞ্জাব ও কাশ্মীরে | এটা হলো ফেরুলা আসাফাটিডা (Ferula Asafoetida) গাছের শিকড় থেকে বের হওয়া আঠা জাতীয় বস্তু | আঠা কে শুকিয়েই হিং তৈরী করা হয় |
হিঙের প্রধান উপকারিতা হলো -------
এটা হজম প্রক্রিয়াতে সাহায্য করে
বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া আর ছত্রাকের বিরুদ্ধে কাজ করে (অর্থাৎ জীবাণু বিরোধী হিসাবে হিং ব্যবহৃত হয়)
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে, রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রনে, স্মৃতি শক্তি বাড়াতে, লিভার ভালো রাখতে কিংবা শরীরের ক্লান্তি কাটাতেও হিঙের ব্যবহার বিশেষ ভাবে প্রযোজ্য
আর মুখের এক স্পেশাল স্বাদ আনতে এর তো তুলনায় নেই
তাই, রান্নায় নানা চমক আনতে আর অবশ্যই শরীর ঠিক রাখতে, মাঝেমাঝে আমরা রান্নাঘরে হিঙের ব্যবহার করবোই করবো |
Comments