top of page

মাছের - ডিমের - পেঁয়াজি (Macher dimer peyaji)

ree


আমি বাঙালি ....বলতে গেলেই , ঘরে , বাইরে , দেশে , বিদেশে সবাইয়ের উৎসুক ভরা এক দারুন প্রশ্ন চোখে - মুখে ভেসে ওঠেই ওঠে | আর সেই প্রশ্নটি হলো , মাছ প্রিয় বাঙালি ??........ কথাটা তো বড়োই সত্য়ি ...ব......ড়োই সত্য়ি | আর সত্য়ি বলতে কি , বেশি সংখ্যার বাঙালিই তো মাছ খেতে খুব খুবই ভালোবাসে | খাওয়ার পাতে নেই মাছ তো , নেই আনন্দ , নেই তৃপ্তি , নেই সন্তুষ্টি | আর য.....দি ভাতের পাতে একটুকরো মাছ , তো পাত পরিষ্কার | তাইতো আজ , ......না না বহুদিন , বহুকাল থেকে , দিকে দিকে একটা প্রবাদ ছড়িয়েই রয়েছে ....বাঙালি মানেই ....মাছে ভাতে বাঙালি |





মাছ খেতে তো আমরা ভালোবাসিই বাসি , তবে মাছের ডিম্ খেতেও যে ভীষণ ভীষণই ভালোবাসি !! খেতে যে ভীষণই টেস্টি টেস্টি !! কি ? ঠিক বলছি , তাই না ? গরম ভাতে , মাছের ডিমের দুটো গরম গরম বড়া থাকলেই , আর কিছু না হলেও চলে যাবে | আহা হা হা মাছের ডিমের মেনু গুলো বড়োই অপূর্ব ! বড়োই স্বাদিষ্ট ! স্বাদে গুনে একেবারে চটপটা চটপটা | আর আজ আমার খুব আনন্দ যে , আমার রান্নাঘরেও আজ মাছের ডিম্ | তবে পরিমানে বেশ অল্প | তাই বড়া নয় , ভাজবো ''মাছের - ডিমের - পেঁয়াজি '' | অল্প মাছের ডিম্ আর বেশি বেশি পেঁয়াজ | খেতে কিন্তু অপূর্ব লাগবে ! তবে আজকের মেনুটা , শুধু ভাতের পাতে নয় , অপূর্ব লাগে চায়ের টেবিলেও (Macher dimer peyaji)!!



উপকরণ :-


  • মাছের ডিম্ - অল্প পরিমানে , ধুয়ে , জল ঝরিয়ে রেখেছি

  • পেঁয়াজ - ৫টি বড়ো সাইজের , খোসা ছাড়িয়ে মিহি করে কুচিয়ে রেখেছি

  • কাঁচালঙ্কা - নিজের নিজের পছন্দমতো , আমি যতটা নিয়েছি , সেটাও কুচিয়ে রেখেছি

  • বেসন - ৪-৫ চামচ , জলে ভিজিয়ে রেখেছি

  • নুন - প্রয়োজনমতো

  • চিনি - প্রয়োজনমতো

  • সর্ষের তেল - ভাজার জন্য , প্রয়োজনমতো


পদ্ধতি :-


আমার আজকের দুপুরের যা যা মেনু ভেবেছি , প্রায় সবই রেঁধে ফেলেছি | শুধুই বাকি , শেষ রান্না , প্রথম পাতের মেনু , '' মাছের - ডিমের - পেঁয়াজি '' | পেঁয়াজি তো গরম গরম ভাতে ...গরম গরম ই খেতে হবে | তাইতো আজকে রান্না শেষে ভাজজি এই টেস্টি টেস্টি পেঁয়াজি গুলো | মন তো আনন্দে নাচছে | মন ...মনে মনে বলেই চলেছে দুপুরের খাওয়ার শুরুটা অসম্ভব মধুর আর লোভনীয় হবেই হবে | .........একী ! জিভ যে জলে টলটল টলটল করছে !! ঝরে না পরে যায় ..........




ভিজিয়ে রাখা বেসন , প্রথমে অল্পক্ষন ভালো করে হাত দিয়ে ফেটিয়ে নিলাম | রান্নায় হাত না দিলে , রান্না যেন মনটাও ছুঁতে পারে না | যাহোক ফেটানো হয়ে গেছে মনে হতেই , বেসনের মধ্যে একে একে দিলাম , কুচানো পেঁয়াজ , কুচানো লঙ্কা , প্রয়োজনমতো নুন , আর স্বাদে চটক আনতে কয়েকদানা চিনি আর ধুয়ে রাখা অল্প মাছের ডিম্ | এইবার সমস্ত ভালো করে মেখে নিতে লাগলাম | মেখে মেখে সব সুন্দর করে মিশিয়ে নিলাম | মিশ্রণটা তৈরি করে , চট করে একটু চেখে ও নিলাম |





নাঃ ! এক্কেবারে ঠিকঠাকই হয়েছে ! বেশ তাক তাক !! তাহলে ...পেঁয়াজি ভাজার জন্য মাছের ডিমের মিশ্রণ তৈরি | এবার শুধু ভাজবো আর খওয়ার অপেক্ষায় থাকবো | গ্যাসে কড়াই বসিয়ে দিলাম | কড়াইতে দিলাম প্রয়োজনমতো সর্ষের তেল | আঁচ বাড়িয়ে দিলাম | তেল ভালোমতো গরম হয়ে উঠতেই , আঁচ কমিয়ে দিলাম | মাছের ডিমের মিশ্রণ পেঁয়াজি আকারে গড়ে গড়ে কড়াইতে গরম তেলের মধ্যে ছেড়ে দিলাম | আঁচ বাড়িয়ে কমিয়ে , পেঁয়াজিগুলো মুচমুচ মুচমুচ করে ভেজে ভেজে তুলতে লাগলাম | ভাজা পেঁয়াজি একটা পাত্রে তুলে রাখলাম (Macher dimer peyaji)|


মাছের - ডিমের - সব - পেঁয়াজি ভেজে ফেলেছি | গ্যাস বন্ধ করে পেঁয়াজির থালা হাতে পায়ে পায়ে খুশি খুশি মনে পৌঁছে গেলাম আমাদের মধ্যাহ্ন ভোজের টেবিলে | পেঁয়াজির মনমাতানো গন্ধে , মন যেন ছটপট ছটপট করছে | সবার মুখের আনন্দের ছবি , আনন্দের অনুভূতি দেখার মতো | আর দেরি নয় , দেরি নয় | পাতে পাতে পৌঁছে গেছে গরম ভাত আর গরম পেঁয়াজি | শুরু হয়ে গেছে সুখী সুখী খাওয়া | তৃপ্তির বাতাস টেবিলের আনাচে কানাচে , আমাদের চারিদিকে | সবার মুখ খুশির হাবভাবে বলছে ....আমাদের শুরুটা এতো টেস্টি টেস্টি তো শেষটাও .........| খুশি খুশি আর খুশি ....আমরা সবাই খুশি .....


খুশি খুশি থাকুন | সুস্থ থাকুন | ভালো খান | ভালো থাকুন | অ..........নেক আনন্দে থাকুন |

Comments


bottom of page