ভাতের পাতে গরম গরম ডালের সঙ্গে কড়কড়ে ছোট মাছ ভাজা ........সঙ্গে একটুকরো পাতিলেবু বা গন্ধরাজলেবু....... বলতে গেলে মাছপ্রিয় বাঙালিদের প্রায় রোজকারই এক স্পেশাল মেনু | মাছপ্রেমীদের কাছে .....গরম গরম মাছভাজা ...সত্যিই বড়োই মুখরোচক ...বড়োই লোভনীয় ....তা সে গরম ভাতের পাতেই হোক বা বিকালে চায়ের টেবিলেই হোক ....জমে তো যাবেই |
আমি আজ সবাইকে ভেজে খাওয়াবো গরম গরম আর মুচমুচে করে আমোদীমাছ ভাজা | নামটা শুনেই কেমন যেনো আমোদে আহ্লাদে মনপ্রাণ ভরে ভরে ওঠে....তাই না ? সুন্দর স্বাদের এক মিষ্টি ছোট মাছ | দারুন উপকারী | হাড় মজবুত করতে ...দৃষ্টি ভালো রাখতে ....মাছপ্রিয়
বাঙালিদের ভাতের পাতে মাঝে মাঝেই এই মাছ থাকতেই পারে | থাকা উচিত ও | খাওয়া - দাওয়া তে নানা ধরণের মেনুর নানা ধরণের চমক ... সবারই ভালো লাগে | আবার আমরা বাঙালিরা ........ খাওয়ার পাতের চমকটা যেনো একটু বেশি পছন্দ ও করি | তাই তো আমাদের খাওয়ার পাতে নানা - নানা ধরণের মেনুর আসর |
মাছের থলিতে আজ বেশ খানিকটা আমোদীমাছ | পরিষ্কার করে ধুয়ে বেছে নিয়ে ,কয়েকফোঁটা লেবুর রস ,১/২ চামচ কর্ণফ্লাওয়ার ,এক চিমটে গোলমরিচেরগুঁড়ো ,নুন আর হলুদ গুঁড়ো মাখিয়ে রেখে দিলাম | সব কিছুই খুব অল্প করে দিতে হবে |কারণ মাছের মিষ্টি স্বাদ পাওয়াটাই তো আসল কথা | রান্নার শেষে মাছগুলো গরম গরম ভেজে নেবো | কেননা গরম ভাতের পাতে গরম গরম ভাজা খেতেই তো মজা !!! অনেকটা মাছ রয়েছে ,তাই কাউকে না বলেই খানিকটা ম্যারিনেট করা মাছ তুলে রাখলাম , সবাইকে বিকালে চায়ের টেবিলে সস, পেঁয়াজকুচি ,শসা কুচির সঙ্গে ২-১টা করে ভাজা - মাছ খাইয়ে ,আসর জমিয়ে দেবো..................................................
উপকরণ :-
আমোদীমাছ - ৫০০ গ্রাম
লেবুর রস - কয়েকফোঁটা
কর্ণফ্লাওয়ার - ১/২ চামচ মতো
গোলমরিচেরগুঁড়ো - ১-২ চিমটে ,খুব অল্প ,স্বাদ বাড়াতে
হলুদগুঁড়ো - ১-১.৫ চামচ
নুন - প্রয়োজনমতো
চিনি - ১-২টো দানা , স্বাদে চমক বাড়াতে , চটপটা স্বাদ আনতে
সর্ষের তেল - প্রয়োজন অনুযায়ী
পদ্ধতি :-
সব রকম রান্না শেষ করে ফেলেছি | শুধু মাছভাজা বাকি ........টেস্টি টেস্টি করে , মুচমুচে করে ,আমোদীমাছ ভাজা | সবাই খাবার টেবিলে বসলেই ...গরম গরম মাছ ভেজে পাতে পাতে দিয়ে দেবো | সঙ্গে থাকবে সুগন্ধি গন্ধরাজ আর পেঁয়াজ ফোরণে মুসুরডাল | আহা হা হা ,ভাবতেই যেনো জিভে জল ...............
যাহোক গ্যাসে কড়াই চাপিয়ে প্রয়োজনমতো তেল দিলাম | তেল ভালোমতো গরম হয়ে উঠলেই ,আঁচ কমিয়ে কড়াইতে ছেড়ে দিলাম কয়েকটা ম্যারিনেট করা আমোদীমাছ | আঁচ বাড়িয়ে কমিয়ে
মুচমুচ....মুচমুচ করে ভেজে তুলে নিলাম | বাকি সমস্ত মাছ এইভাবেই ভেজে ফেললাম | এখন বাকি রইলো খেয়ে দেখা !!!
দারুন মুখরোচক চটপটা স্বাদের হাওয়া খাবার টেবিলে বয়ে চললো | সবাই খুব তৃপ্তি করে মধ্যাহ্ন ভোজ সেরে ফেলে , গুটিগুটি পায়ে ভাতঘুমের আমেজ নিতে এগিয়ে গেলো | সুখনিদ্রা শেষ করে সবাই আবার ঠিক সময়েই পৌঁছে গেছে
,বিকালের চায়ের টেবিলে | কিন্তু সবার হাতে হাতে .........শসাকুচি ,পেঁয়াজকুচি আর টমেটোসস =চিলিসস সমেত আরো একবার কড়কড়ে আমোদীমাছ দেখে সবাইয়ের চোখ যেনো আনন্দে ছানাবড়া | কপাকপ- কপ- কপাকপ খাওয়া শুরু | অবাকে অবাকে ভাষা যেনো নেই ....... শুধুই মজাদার খাওয়ার আনন্দ | আর
...এই আনন্দের খাওয়া পূর্ণতা পেলো , চায়ের কাপে আমেজের চুমুকে | ওঃ....খুব খুব আনন্দ ......সবাই ভেসে চলেছি ...আনন্দে শুধুই আনন্দে ...................
সবার আনন্দ দেখে আমিতো ভেবেই ফেললাম ,খুব তাড়াতাড়ি আমি বিকালের চায়ের টেবিলে আবার সবাইকে খাওয়াবো মুচমুচে পার্শে - ফ্রাই ..............ভেবেই মনে হলো ঠিক ভেবেছি ঠিক ভেবেছি ....তবে এখন নয় বাকি ভাবনা না হয় , পরেই ভাববো ........এখন সবার আনন্দে ভেসে চলি .........
আনন্দে থাকুন | মজাদার ভালো ভালো খান | সুস্থ থাকুন | ভালো থাকুন | আর থাকুন খুশি খুশি |
Commenti