top of page

চিংড়ি - আলুর - ডালনা



চিংড়ি আলুর ডালনা ভাতের পাতে এক অসাধারণ আর রসালো মেনু | চিংড়ির স্পেশাল স্বাদে রান্নাটিও কিন্তু হয়ে ওঠে স্পেশাল | মাছ প্রিয় বাঙালির কাছে চিংড়ি মাছের চাহিদা যে কেমন তা নিশ্চয়ই আর বলে বোঝাতে হবে না | আমি আর আমার বাড়ির সবাইও চিংড়ি মাছের ভক্ত | তাই মাঝেমাঝে রান্নাঘরে চিংড়ির মেনু থাকেই | আর এটাই তো স্বাভাবিক | আজ বাজারের থলিতে বাগদা চিংড়ি দেখেই সঙ্গে সঙ্গে মনস্থির করলাম দুপুরের মেনুতে রাঁধবো চিংড়ি আলুর ডালনা | আর খাবো সবাই মিলে মজা করে |


উপকরণ :-


  • বাগদা চিংড়ি - ৫০০ গ্রাম (সুন্দর করে ছাড়ানো আর পরিষ্কার করা)

  • আলু - ৪ থেকে ৫টি মাঝারি সাইজের (প্রত্যেকটি খোসা ছাড়িয়ে ৪ টুকরো করে কাটা)

  • পেঁয়াজ - ২টি মাঝারি সাইজের (মিহি করে কুচানো)

  • টমেটো - ১টি মাঝারি সাইজের কুচানো

  • আদা বাটা - ১ চামচ

  • রসুন বাটা - ১ চামচ

  • কাঁচা লঙ্কা বাটা - ১ থেকে ১.৫ চামচ

  • জিরে গুঁড়ো - ২ থেকে ৩ চামচ

  • লঙ্কা গুঁড়ো - ১ থেকে ২ চামচ

  • হলুদ - ২ থেকে ২.৫ চামচ

  • নূন - প্রয়োজন মতো

  • চিনি - সামান্য (রান্নায় রং ও স্বাদের জন্য)

  • গরম মশলা - ১/৪ চামচ

  • ঘি - ১ চামচ

  • সর্ষের তেল - প্রয়োজন মতো


গরম মশলা বা ঘি না দিলেও রান্নাটি সুন্দর হবে

পদ্ধতি :-


বাজার থেকে আনা চিংড়ি মাছ ভালো করে পরিষ্কার করে ধুয়ে নূন হলুদ মাখিয়ে একটা পাত্রে রেখে দিলাম | কড়াই গ্যাসে গরম করে ১-১.৫ চামচ মতো তেল দিলাম | তেল গরম হলে চিংড়ি গুলো কড়াইতে দিয়ে একটু সাঁতলে নিয়ে একটা পাত্রে তুলে রাখলাম | এবার কড়াই পরিষ্কার করে, আরো ১-১.৫ চামচ তেল দিলাম | দিলাম জলে ধোয়া আলুর টুকরো গুলো, এক চিমটে হলুদ আর এক চিমটে নূন | রাঙা করে আলু গুলো ভেজে তুলে রাখলাম | এবার কড়াইতে আরও ২ চামচ মতো তেল দিয়ে, পেঁয়াজের টুকরো গুলো তেলে ছেড়ে দিলাম | পেঁয়াজ ভাজা একটু নরম আর বাদামি হয়ে এলে, দিলাম কয়েকদানা চিনি, আদা বাটা, রসুন বাটা ও কাঁচা লঙ্কা বাটা | কয়েকবার নেড়ে দিলাম, হলুদ, নূন আর টমেটোর টুকরো গুলো | খুব ভালো করে কয়েকবার কষে নিয়ে কড়াইতে দিলাম, ভাজা আলুর টুকরো আর জিরে গুঁড়ো | কষতে কষতে মশলার সুন্দর গন্ধ বেরোলেই, সাঁতলানো চিংড়ি গুলো দিয়ে আরো কয়েকবার ভালো করে নেড়েচেড়ে নিলাম | রান্নাটা যে পরিমাণে রসা রসা করবো সেই ভেবে জল দিলাম | ঝোল ফুটে উঠলেই, একটা ঢাকা দিয়ে আঁচ কমিয়ে রান্নাটা কিছুক্ষন হতে দিলাম | এরপর আলু ঠিকঠাক সেদ্ধ হয়েছে কিনা আর রান্নার স্বাদ ঠিক হয়েছে কিনা দেখে, আঁচ বাড়িয়ে রসার পরিমাণ ঠিক করে নিলাম | দিলাম ১/৪ চামচ গরম মশলা আর এক চামচ ঘি | গ্যাস বন্ধ করে রান্নাটা ঢাকা দিয়ে রেখে দিলাম | আজ খাবার টেবিলে আমার কিন্তু কোনো চিন্তা ভাবনা কিছুই নেই | কারণ আমি জানি আমার রান্না করা চিংড়ি আলুর ডালনা সবাই বড়োই খুশি মনে খাবে | আমি চাই আপনারাও রান্নাঘরে খুশি মনে রান্না করুন, খান, ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন |

14 views0 comments

Comments


bottom of page