শীতকালের সবজি মনে করতেই ,ফুলকপি ,বাঁধাকপির কথাতো মনে পরেই পরে | আজও আমার রান্নাঘরে ফুলকপি | ফুলকপি তো রান্না করবোই | কিন্তু হঠাৎই ফুলকপির ডাঁটা- পাতার দিকে চোখ পড়লো | বেশ কচি কচি আর সবুজে ভরা | ভাবলাম ( লোভই হচ্ছিল ) কচি কচি কুলকপির ডাটা গুলো কুচিয়ে যদি পোস্ত রাঁধি, তবে দুপুরের খাবার প্রথম পাতটা টেস্টি টেস্টি তো হবেই আর জমেও যাবে |
ভাবার সঙ্গে সঙ্গেই ডাটা ছাড়িয়ে নিয়ে মিহি করে কুচিয়ে জলে ভিজিয়ে দিলাম | ৫০ গ্রাম মতো পোস্তও ভিজিয়ে দিলাম | একটু আলু কুঁচিয়েও দেবো| বেশ মাখো মাখোই হবে| সকালের জলখাবারের খাওয়া দাওয়া শেষ করে নিয়ে ,নিশ্চিন্ত মনে কপির ডাটার পোস্ত রাঁধায় মন দিলাম |
উপকরণ :-
কুচানো কপির ডাটা - ২-৩ কাপ( জলে ভেজানো )
আলু -২টি মাঝারি সাইজের( খোসা ছাড়িয়ে লম্বা লম্বি আলু ভাজার মতো করে কেটে জলে ভেজানো )
কাঁচালঙ্কা - ৩-৪ টি
কচি ধনেপাতা - খুব অল্প ( কুচানো )
পোস্ত - ৫০ গ্রাম মতো
নুন-প্রয়োজনমতো
চিনি - প্রয়োজনমতো
সর্ষের তেল - প্রয়োজনমতো
উপকরণ :-
রান্না শুরুর প্রথমেই মিক্সিতে জল ছেঁকে পোস্ত গুলো নিলাম ,আর দিলাম জলে ধোয়া ৩-৪টি কাঁচালঙ্কা| সবটা মিহি করে পিষে নিলাম | গ্যাসে কড়াই চাপলাম | পরিমান মতো সর্ষের তেল দিলাম | তেল গরম হতেই জলে ধোয়া আলুর টুকরো গুলো দিলাম | আঁচ বাড়িয়ে কমিয়ে ভালো করে নাড়তে লাগলাম | আলুতে খুব হালকা রং ধরলে ,দিলাম জলে ধোয়া কুচানো কপির ডাটাগুলো আর দিলাম আন্দাজমতো নুন আর চিনি | আঁচ বাড়িয়ে কমিয়ে সমস্ত উপকরণ একটু নাড়াচাড়া করতে লাগলাম |
এবার আঁচ কমিয়ে ঢাকা দিয়ে রান্নাটা ভাপে হতে দিলাম | ডাটা থেকে জল বেরিয়ে ডাটা আর আলু একটু নরম হয়ে গেলে ,ঢাকা খুলে কড়াইতে পোস্ত-কাঁচালঙ্কা বাটা সামান্য জল মিশিয়ে নিয়ে দিয়ে দিলাম ,আর দিলাম মিহি করে কুচানো অল্প ধনেপাতা | | আঁচ বাড়িয়ে ভালো ভাবে কিছুক্ষন নেড়েচেড়ে আঁচ কমিয়ে দিলাম | ডাটা আলু সেদ্ব হয়েছে কিনা দেখে নিলাম | ঠিক মনে হতেই চট করে রান্নার স্বাদও দেখে নিলাম | এবার আবার আঁচ বাড়িয়ে সমস্ত উপকরণ নাড়তে লাগলাম |রান্না মাখো মাখো হলে আর পোস্তর ভাজা ভাজা গন্ধ বের হতেই গ্যাস বন্ধ করে দিলাম |
একটা কথা কিন্তু সবাই বিশ্বাস করবে যে , বাঙালি ভীষণ ভাবে খাদ্য রসিক | স্বাদে ভরপুর যে কোনো রান্নাই তাদের প্রিয়| আর পোস্ত দিয়ে সব রান্নাই আমাদের মানে বাঙালিদের তো খুবই প্রিয় | সবচাইতে বড়ো কথা পোস্ত... রান্নার এমন এক উপকরণ ,যাতেই দেওয়া হবে তাই স্বাদে গুনে অসাধারণ হয়ে উঠবেই |
তাই দুপুরের খাবার টেবিলের প্রথম পাত কেমন জমে উঠলো ,তা বোধহয় সবাই বুঝেই ফেলেছেন | খুব সোজা রান্না ,হালকা রান্না | একবার রেঁধে খেয়ে দেখুন ,মনে হবে বারবার রাঁধি আর খাই ....বারবার রাঁধি আর খাই |
জমিয়ে রান্না করুন ,আনন্দ করে খান আর খুব খুব ভালো থাকুন ,সুস্থ থাকুন |
تعليقات