top of page

লালশাকের - ডাটার- পোস্ত

Writer's picture: Kaveri NandiKaveri Nandi

বাড়ির সবার শাক ভাজা খেতে ইচ্ছে করেছে। বাজার থেকে যথারীতি একেবারে টাটকা লালশাক চলেও এসেছে। সবাই কে কথাও দিয়েছি , খুব মুখরোচক করে লাল শাক ভাজা খাওয়াবো। শাক বাছছি ,হঠাৎ খেয়াল করলাম লালশাকের ডাটাগুলো টাটকা তো বটেই ,খুব নরম ও। লোভ হলো ,এই ডাটাগুলো দিয়ে আর পোস্ত দিয়ে যদি একটা মেনু তৈরি করি ,মনে হয় খুব ভালো লাগবে।


কাউকে কিচ্ছু জানালাম না। ইচ্ছে টা তো আমার। সবাই যদি বলে !!! এই গরমে আর রাঁধতে হবে না,অনেক পদ রান্না হয়েছে। এই ভয়ে চুপিচুপি চটপট একটু পোস্ত ভিজিয়ে দিলাম। আর ডাটাগুলো ভালো করে বেছে নিয়ে টুকরো টুকরো করে কেটে জলে ভিজিয়ে রাখলাম।সুযোগ বুঝে অন্য পদগুলোর মাঝে ,এই পদটাও রেঁধে নেবো।


উপকরণ :-

  • লালশাকের ডাটা - ২ আঁটি লালশাকের থেকে নেওয়া ডাটা (পাতা বাদ দেওয়া )

  • পোস্ত - ৫০ গ্রাম

  • কাঁচালঙ্কা - ৫-৬টি ( ২টি বাটা ,বাকিগুলো চেরা )

  • নুন - প্রয়োজনমতো

  • চিনি - প্রয়োজনমতো

  • সর্ষের তেল - প্রয়োজনমতো


পদ্ধতি :-

প্রথমেই ভেজা পোস্ত জল ঝরিয়ে মিক্সিতে নিয়ে ,২টি গোটা কাঁচালঙ্কা দিয়ে মিহি করে বেটে নিলাম। জলে ভেজানো ডাটা গুলো ও বার বার জলে ধুয়ে নিয়ে ,জল ঝরিয়ে রাখলাম।



গ্যাসে কড়াই চাপিয়ে তেল দিলাম। তেল গরম হলে কাটা জল ঝরানো ডাটা আর ১টি কাঁচালঙ্কা তেলে ছেড়ে দিলাম।দিলাম প্রয়োজনমতো নুন আর চিনি। আঁচ বাড়িয়ে কমিয়ে কয়েকবার নাড়াচাড়া করে আঁচ কমিয়ে একটা ঢাকা কড়াইতে দিয়ে দিলাম। কম আঁচে ডাটা সেদ্ধ হতে লাগলো। ডাটা গুলো খুবই নরম। ঢাকা খুলে দেখি ,ডাটা থেকে অল্প জল বেরিয়ে ডাটা বেশ নরম হয়ে গেছে।


এবার আঁচ বাড়িয়ে কড়াইতে বাটা পোস্ত দিলাম। সমস্ত উপকরণ ভালো করে নাড়তে লাগলাম। আঁচ বাড়িয়ে কমিয়ে ডাটা আর পোস্ত নাড়তে নাড়তে মাখো মাখো হয়ে আসতেই ,রান্নার স্বাদ দেখে

নিলাম। সব একদম ঠিকঠাক ......মনে হতেই ,ডাটা আর পোস্ত ভাজা ভাজা করে নিয়ে গ্যাস বন্ধ করে দিলাম।


দুপুরে খাবার টেবিলে সবাই খাওয়া শুরু করলো গরম ভাত আর ছোলা দিয়ে লালশাক ভাজা সঙ্গে নিয়ে। খুব প্রশংসা আর খুব আনন্দ করতে করতে সবাই খাওয়া শেষ করতেই ,প্রত্যেকের পাতে ১চামচ -২চামচ করে লাল ডাটার পোস্ত ভাজা দিতেই ,সবাই একসঙ্গে বলে উঠলো এটা কখন রাঁধলে ? মুখে দিয়ে বললো কি অসাধারণ হয়েছে গো। দারুন খেতে লাগছে। মুখ স্বাদে ভরে গেলো যে। সত্যিই অপূর্ব। খুব ভালো।


সত্যিই ভালো। খাদ্য গুণেভরা প্রতিটি উপকরণই যত্ন করে ,ভালোবেসে রাঁধলে ---সাধারণ অসাধারণ হয়ে ওঠে। আর মাঝে মাঝে এই ধরণের মেনু গুলো খুবই ভালো লাগে। মন পাল্টায় ,মুখের স্বাদ পাল্টায়।


সব্বাই খুব খুব ভালো থাকুন ,আনন্দে থাকুন ,সুস্থ থাকুন।



১ view০ comment

Recent Posts

See All

Comments


bottom of page