আজকের বাজার তো এসেই গেছে। দেখা যাক..... বাজার থেকে কি কি এলো। ওমা ! মানকচু !! অনেক .....অনেক দিন বাদে। খুব আনন্দ হচ্ছে। দেখি দেখি আর কি কি আছে ? একটা কচি মতো গোটা নারকেল। বাঃ! বাঃ ! .....আর ভাববো না। দুপুরের একটা মেনু ঠিক করেই ফেললাম। টেস্টি টেস্টি ..মানকচু বাটা। গরম ভাতে প্রথম পাতে ............. ও - হো - হো ,আর ভাবতেই পারছি না...... আজ দুপুরের খাবার টেবিল শুরুতেই জমে উঠবে। এটা তো ঠিক হয়েই গেলো ,পরের মেনু গুলো
এবার ধীরে ধীরে ভাবতে শুরু করবো ..........
অনেক রকম কচু তো আমরা রান্না করি। সবই স্বাদগুণে অসাধারণ। তবে মানকচু - বাটা সত্যি সত্যিই এক্কেবারে এক স্পেশাল রান্না। খুবই সহজ রান্না। কিন্তু খেতে অসাধারণ। যারা কচুর নানা মেনু পছন্দ করেন ,তারা মানকচু - বাটা খান আমেজ করে,খুব রসিয়ে - রসিয়ে । শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে মাঝে মাঝে আমরা আমাদের রান্নাঘরে কচুর কোনো এক মেনু রাখতেই পারি। কচু - আমাদের রক্ত পরিশ্রুত করে রক্ত ভালো রাখতে সাহায্য করে।
মানকচু বাটা করবো ...মানকচু ,সর্ষে ,পোস্ত,নারকেল আর কাঁচালঙ্কা বাটা দিয়ে। সর্ষে ,পোস্ত তো রান্নাঘরেই মজুত রয়েছে। পরিমান মতো সর্ষে ,আর পোস্ত আলাদা আলাদা করে জলে ভিজিয়ে দিলাম। নারকোল ভেঙে নিয়ে ,নারকোলের মালা থেকে নারকেল ছাড়িয়ে খুব ছোট ছোট টুকরো করে রাখলাম। আর বাকি উপকরণ কাঁচালঙ্কা ,নুন ,চিনি আর সর্ষের তেল।
আর দেরি সইছে না। সবাইকে চা - জলখাবার খাইয়ে ,নিজেও খেয়ে নিয়ে ,খুশি খুশি মনে রান্নাঘরে ঢুকে পড়লাম .....মানকচু - বাটা তৈরি করতে ............
উপকরণ :-
মানকচু - ৫০০ গ্রাম মতো
নারকেল - ছোট মতো এক কচি নারকেলের অর্ধেক
পোস্ত - ২৫ গ্রাম
গোটা সর্ষে - ৩-৪ চামচ
গোটা কাঁচালঙ্কা - ৫-৬টি ( ঝাল অবশ্যই নিজের নিজের পছন্দ মতো )
নুন - প্রয়োজনমতো
চিনি - প্রয়োজনতো
সর্ষের তেল - প্রয়োজনমতো
পদ্ধতি :-
খুব খুব সহজ রান্না। খুব তাড়াতাড়ি তৈরিও হয়ে যায়। আর খেয়ে মন ভরে যায়। যা - হোক মানকচু - বাটা এবার তৈরি করবো। প্রথমেই মিক্সিতে আলাদা আলাদা করে ,পোস্ত ,সর্ষে ,নারকেল ,কাঁচালঙ্কা আর মানকচু বেটে নিয়ে একটা পাত্রের মধ্যে সব রেখে দিলাম। পাত্রের মধ্যে দিলাম প্রয়োজনমতো নুন ,একটু চিনি আর ৩-৪ চামচ সর্ষের তেল। একটা চামচ দিয়ে সমস্ত মিশ্রণ ভালো করে নেড়েনেড়ে
মিশিয়ে দিতে লাগলাম।
সমস্ত বাটা উপকরণ সুন্দর ভাবে মিশে গেছে মনে হতেই ,মিশ্রনের স্বাদ দেখে নিলাম। বাঃ! কি সুন্দর লাগছে ...! স্বাদে মুখ ভরে যাচ্ছে। আর খুশিতে ,আনন্দে মন ভরে যাচ্ছে। মানকচু বাটা তৈরি করে নিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখলাম ,দুপুরের খাবার টেবিলের অপেক্ষায়।
***(একটা কথা কিন্তু বিশেষ করেই বলছি। অনেকে কাঁচা মানকচু বাটার থেকে ,ভাজা মানকচু বাটা খেতে একটু বেশি পছন্দ করে। সেটাও হতে পারে। গ্যাসে কড়াই চাপিয়ে অল্প একটু তেল দিতে হবে। তেল গরম হলেই ,আঁচ কমিয়ে মানকচু বাটা কড়াইতে দিয়ে ,
আঁচ বাড়িয়ে কমিয়ে একটু নেড়ে নিয়েই গ্যাস বন্ধ করে দিতে হবে। '' একটু ভাজা বাটা মান - জিভের স্বাদে টান টান। '')
তবে আমি কিন্তু আজ অবশ্যই তৈরি করেছি --- মানকচু -সর্ষে -পোস্ত -নারকেল - কাঁচালঙ্কার কাঁচা বাটা , যা আজ দুপুরের খাবার টেবিলে আনন্দের - আহ্লাদের এক সুন্দর হাওয়া বইয়ে দিলো। সবাই খুব খুব খুশি টেস্টি টেস্টি এই বিশেষ মেনুটার জন্য আর তাই - আমিও খুব খুব খুশি।
খুশিতে থাকুন ,আনন্দে থাকুন, সুস্থ আহার করুন আর অনেক অনেক সুস্থ থাকুন।
Commentaires