মুড়িঘন্ট !!! এই মেনুটায় কিন্তু একটু রাজকীয় রাজকীয় ভাব আছে | মাঝেমধ্যে অন্য স্বাদের মেনু বেশ ভালোই লাগে | রুই-কাতলা কেনার সময়ে মাছের মুড়ো-লেজা সবই আমরা কিনি | আর এই মুড়ো দিয়েই তৈরিও করে ফেলি নানা ধরণের অসাধারণ পদ | মাছের মাথা দিয়ে মুগের ডাল, ছ্যাঁচড়া, মুড়িঘন্ট, ইত্যাদি কতরকম মুখরোচক রান্না | ভাবলেই যেন জিভে জল আসে | আজ আমার ভাবনাতেই ছিল যে দুপুরের মেনুর একটা পদ হবে মুড়িঘন্ট | তাই বাজার থেকে দুটো মুড়ো আলাদা করে আনিয়েই নিয়েছি | সব উপকরণ যখন আমার রান্নাঘরে, তখন দেরি না করে রান্না শুরু করেই দিই.......
উপকরণ :-
মাছের মুড়ো - ২টি মাঝারি সাইজের (প্রত্যেকটি ৪ টুকরো করে কাটা)
পেঁয়াজ - ২টি ছোট সাইজের (মিহি করে কুচানো)
রসুন বাটা - ১ চামচ
আদা বাটা - ১ চামচ
আলু - ২টি মাঝারি সাইজের (প্রত্যেকটি ৮ টুকরো করে কাটা)
গোবিন্দ ভোগ চাল - ২ মুঠো
ছোট এলাচ - ৫টি
হলুদ - ১ থেকে ২ চামচ
জিরে গুঁড়ো - ১ চামচ
লঙ্কা গুঁড়ো - ১/২ চামচ
কাঁচা লঙ্কা - ২টি বাটা, ৩টি চেরা
নূন - প্রয়োজন মতো
চিনি - প্রয়োজন মতো (একটু দিতেই হবে)
গরম মশলা - ১/৪ চামচ
ঘি - ১ চামচ
সর্ষের তেল - প্রয়োজন মতো
পদ্ধতি :-
মাছের মুড়ো গুলো ভালো করে ধুয়ে নূন আর হলুদ মাখিয়ে রেখে দিলাম | গ্যাসে কড়াই গরম করে তেল দিলাম | তেল গরম হলে, মাছের মাথা গুলো একটু করা করে ভেজে তুলে রাখলাম | এবার কড়াই পরিষ্কার করে আবার তেল দিলাম | তেল গরম হলে জলে ধোয়া আলুর টুকরো গুলো কড়াইতে দিয়ে রাঙা করে ভেজে তুলে রাখলাম | এবার এই তেলের মধ্যেই প্রয়োজন মতো একটু তেল দিয়ে ছোট এলাচ ফোড়ন দিলাম, দিলাম কুচানো পেঁয়াজ গুলো | পেঁয়াজ ভাজা একটু বাদামি আর নরম হয়ে এলে, দিলাম আদা, রসুন আর কাঁচা লঙ্কা বাটা ---- ভালো করে নাড়তে লাগলাম | আঁচ কমিয়ে, কড়াইতে দিলাম --- ভাজা আলুর টুকরো গুলো, সামান্য হলুদ, নূন, চিনি, জিরে গুঁড়ো ও সামান্য লঙ্কা গুঁড়ো | এবার খুব ভালো করে কষতে কষতে, দিলাম জলে ধোয়া গোবিন্দী ভোগ চাল গুলো | সব উপকরণ গুলো একসঙ্গে ভালো করে নাড়তে লাগলাম | মশলার সুন্দর গন্ধ বেরোলেই কড়াইতে ২ কাপ মতো জল দিলাম, আর একটু একটু ভেঙে নেওয়া ভাজা মুড়োর টুকরো গুলো | দু একবার ভালো করে নেড়ে আঁচ কমিয়ে একটা ঢাকা দিয়ে কিছুক্ষন হতে দিলাম | আলু, গোবিন্দ ভোগ চাল সুস্বিদ্ধ হয়ে এলে রান্নার স্বাদ দেখে নিলাম | আঁচ কমিয়ে, দিলাম কয়েকটুক্র কাঁচা লঙ্কা, একটু গরম মশলা ও এক চামচ ঘি | নেড়ে নিয়ে রসা ঘন-ঘন হলেই গ্যাস বন্ধ করলাম আর রান্তা ঢাকা দিয়ে কিছুক্ষন রেখে দিলাম | এবার খাবার পাতে কিন্তু কোনো সাড়া শব্দ নেই, শুধুই খাওয়া আর তৃপ্তি করে খাওয়া | ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন |
コメント